নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করে চরের বাথানীরা। পরে তাঁকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আলা উদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁকে সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্ন জাগলার চর থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় বাথানীরা আটক করে। আলা উদ্দিন (২৮) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের মহি উদ্দিনের ছেলে।
হাতিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি, হাতিয়া থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় তিনি কয়েকবার জেলও খেটেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলা উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। তিনি অনেকগুলো মামলার আসামি হয়ে এলাকার বাইরে অবস্থান করতেন। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে মানুষের গরু-মহিষ ভেড়া নিয়ে চলে যেতেন। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তিনি আবারও এলাকায় এসে ডাকাতি এবং চাঁদাবাজি শুরু করেন।
ঘটনার দিন জাগলার চরে বাথানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার সময় সব ববাথানী একত্রিত হয়ে তাঁকে পিটুনি দেয়। পরে নৌবাহিনী খবর পেয়ে অস্ত্রসহ আটক করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ বলেন, ডাকাত আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। গণপিটুনিতে আহত হওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।