কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর গোমতী নদী থেকে সমীর চন্দ্র দাস (৪০) নামে এক আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সমীর চন্দ্র দাস উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের রাখাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় গোমতী নদীতে লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মুরাদনগর থানা-পুলিশ।
সমীর চন্দ্রের স্ত্রী সোমা রানী দাশ জানান, তাঁর স্বামী চট্টগ্রামে আনসার ভিডিপিতে কর্মরত ছিলেন। বুধবার ছুটিতে বাড়িতে আসেন। গত শনিবার বিকেলে কবুতর বিক্রির জন্য স্থানীয় ডালিম নামে তাঁর এক বন্ধু বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। কবুতর বিক্রি শেষে সমীর বাসায় আসলে পুনরায় আবার সন্ধ্যায় ডেকে নিয়ে যান ডালিম। রাত গভীর হলে স্বামীর মোবাইলে একাধিক বার কল দিলে রিসিভ করেন ডালিম।
এরপর আবারও জানতে চাইলে ডালিম বলেন—সমীর সঙ্গে আছে কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তীতে আবার কল দিলে তিনি জানান সমীর কিছুক্ষণ পর বাড়িতে আসবে। পরে রাতে ডালিম সমীরের ব্যবহৃত জুতা ও মোবাইল নিয়ে বাড়িতে এসে জানায় সমীর গোমতী নদীর পাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে জুয়া খেলছিল। এ সময় অজ্ঞাত কেউ জুয়াড়িদের বরাবর টর্চলাইট মারলে পুলিশ ভেবে জুয়ারিরা গোমতী নদীতে ঝাঁপ দেন বলে ডালিমের বরাত দিয়ে জানান সোমা রানী।
এ বিষয়ে জানতে ডালিমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’