বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হামিদের আদালতে কালীপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন, অ্যাডভোকেট লুৎফুল হায়দার ও অ্যাডভোকেট আবু নাছেরসহ আরও অনেক আইনজীবী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের (বাঁশখালী) সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশ ও আশ্রয়ে বাঁশখালীর কালীপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, চাঁদাবাজি, জায়গা-জমি ও বাগান দখলসহ বিরোধী লোকজনের ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বাদী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ২৫ জুলাই আসামিরা কালীপুরে তাঁর লিচু বাগান দখল করেন। আসামিরা সাবেক এমপির নির্দেশে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যানের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেন।
মামলার বাদী নুরুল হক জানান, আসামিরা তাঁকে বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতার জোরে চরমভাবে নির্যাতন করেন। তাঁর সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দেন। তাকে বাড়ি-ঘরেও থাকতে দেননি।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। আদালত থেকে আদেশের কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’