নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
‘চট্টগ্রাম ওয়াসার দুর্নীতি-অনিয়মে কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। ভোগান্তিও রয়েছে, তা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। একেবারে মিনিমাম লেভেলে। আগে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসত, এখন সেই তুলনায় কম। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো কমিয়ে আনছি।’
আজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) গণশুনানিতে এসব কথা বলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল্লাহ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের একটি বিশেষ রোগের মতো। ওয়াসায় দুর্নীতি আছে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আগে মিটার কানেকশন নিয়ে, মিটার পরিবর্তন নিয়ে, বাড়তি বিল নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকত। কিন্তু এসব মিনিমাম লেভেলে চলে এসেছে।’
সেবার হার বেড়েছে উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমার কাছে অনেক লোক অভিযোগ নিয়ে আসেন। এগুলো আমরা দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করছি। এসব ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাই।’
শুষ্ক মৌসুমে পানিতে লবণাক্ততার বিষয়ে এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় পানির স্রোত কম থাকে। অন্যদিকে সমুদ্রের নোনা পানি ওপরে উঠে আসে। ফলে লবণাক্ততা বাড়ে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উল্লিখিত আধারগুলোতে প্রাকৃতিক এসব সমস্যার কারণে মিষ্টি পানির সংকট হচ্ছে।’ এ সমস্যা সমাধানে আরও একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে লিখিত বক্তব্য তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসার চলমান ও সদ্য শেষ হওয়া প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ওয়াসার সেবার মান আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
পরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ওয়াসার গ্রাহকেরা অনিয়ম ও ভোগান্তি তুলে ধরেন। এ সময় গ্রাহকেরা চট্টগ্রাম ওয়াসায় কানেকশন ছাড়াই বিল আদায়, অধিকাংশ সময় পানি না পাওয়া, পানিতে লবণাক্ততা, পচা গন্ধ, লাইনে লিকেজ, অহরহ সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি, যাতায়াতে সীমাহীন ভোগান্তিসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম ওয়াসার সচিব শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।