পানির প্রচণ্ড চাপে পুরোপুরি ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে মুছাপুর, চর পার্বতী, চর এলাহী, চর হাজারী, সিরাজপুর ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলা। তেমনি পার্শ্ববর্তী উপজেলা কবিরহাট, ফেনী, দাগনভূঞা ও চট্টগ্রামের মিরসরাইসহ কয়েকটি এলাকায় পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে এই স্লুইসগেট বা রেগুলেটরের পশ্চিম অংশ প্রচণ্ড পানির চাপে ছিঁড়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে পানির চাপে রেগুলেটরের ২৩টি গেট ছিঁড়ে পুরোপুরি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে উজানের ঢলে আসা পানি আন্তসীমান্ত কাকড়ি ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে ছোট ফেনী নদীর মুখে মুছাপুর স্লুইসগেটের মাধ্যমে সন্দ্বীপ চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ে। কাকড়ি নদী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ও কাশিনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশেছে। এ ছাড়া ডাকাতিয়া নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ফলে কয়েক দিন ধরে প্রচুর পানি নামছে এই রেগুলেটর দিয়ে। এতে স্বাভাবিক হতে থাকে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি। কিন্তু রোববার রাত থেকে রেগুলেটর এলাকায় বাড়তে থাকে পানির চাপ এবং সোমবার সকালে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায় রেগুলেটরটি। এতে রেগুলেটর এলাকার আশপাশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেনীর ভয়াবহ বন্যার পানি নামার জন্য কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩টি গেট খুলে দেওয়া হয়। যেখান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ ঘনমিটারের বেশি পানি নিষ্কাশন হচ্ছিল।