কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে ফোটানো ৩২টি সামুদ্রিক কচ্ছপের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে টেকনাফ সমুদ্র উপকূলের শামলাপুর সৈকতের কোডেক নামের একটি সংস্থার হ্যাচারি থেকে অলিভ রিডলি প্রজাতির এ বাচ্চাগুলো সাগরে ছাড়া হয়।
চলতি মৌসুমে এই প্রথম হ্যাচারিতে ফোটানো বাচ্চা অবমুক্ত করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দুপুরে ডিম পাড়তে আসা দুটি অলিভ রিডলির শরীরে ট্যাগিং ডিভাইস সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে টেকনাফের মাদারবুনিয়া ও শামলাপুর সৈকতে একটি কচ্ছপ ১৩০ এবং আরেকটি ১২০ টি ডিম পাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা ইউএসএআইডের সহায়তায় পরিচালিত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পে সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননে কাজ করছে কোডেক।
এই প্রকল্পের পরিচালক ড. শীতল কুমার নাথ বলেন, বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দুটি কচ্ছপের শরীরে ট্যাগিং ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। এই ডিভাইস স্থাপনের ফলে আগামী মৌসুমে কচ্ছপগুলো কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ডিম পাড়তে আসছে কিনা তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে অধিকাংশ হ্যাচারির ডিম ফুটে বাচ্চা জন্ম নিবে। এরপর তা সাগরে অবমুক্ত করা হবে। চলতি মৌসুমে গবেষণার উদ্দেশ্যে মা কচ্ছপে শরীরে ট্রাকিং ডিভাইস স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বোরির এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, এই ডিভাইস স্থাপনের ফলে সামুদ্রিক কচ্ছপের গতিবিধি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। এতে জানা যাবে কচ্ছপ কখন কোথায় কীভাবে অবস্থান করছে, তাদের আবাসস্থল এবং প্রজনন মৌসুমে তাদের উপকূলে ফিরে আসার রুট বা পথ শনাক্তকরণ করা সম্ভব হবে। ফলে তাদের চলাচলের পথে বাধাবিপত্তি চিহ্নিত করা যাবে।