খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কে পাহাড়ধসে সড়কযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার রাতে পাহাড়ধসের পর খবর পেয়ে আজ রোববার সকালে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেদাক মারমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাতের কোনো একসময় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। তাতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে অতিবৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাও ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করছে স্থানীয়রা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার শালবন এলাকায় ১০০ পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। এর মধ্যে ৩০ পরিবার অতিঝুঁকিতে রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আবারও পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত রাতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।