লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন চলাকালীন উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে জেলার কমলনগরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ (দোয়াত কলম) ও শরাফ উদ্দিন সোহেলের (কাপ পিরিচ) সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদের শতাধিক কর্মী ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে স্থানীয় হাজিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফ উদ্দিন সোহেলের সমর্থকেরা বাধা দিলে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. সাঈদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করে আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ইউএনও বলেন, মেহেদী হাসান দোয়াত কলম ও চশমা প্রতীকে ৩০টি মতো ভোট দিয়েছেন।