চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জন খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলকে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাইমচর থানায় মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। রাতেই এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন।
বাদী মামলার এজাহারে আহত ও খুন হওয়া ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেন। খুনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানি মো. জুয়েল।
মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজাহারের বিবরণে উল্লেখ করেন, আহত জুয়েলের গলায় জখম থাকায় কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হলে ডাকাত দল দেখলে চিনবেন বলে ইশারায় জানান। তবে জুয়েল জাহাজে ৯ জন ছিল বলে লিখে জানান। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তাঁর ঠিকানা দিতে পারেননি।
ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনের সময় একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, একমুঠো ভাত ও এক টেবিল চা-চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ।
নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে জাহাজে খুন হওয়া ছয়জনের মরদেহ মঙ্গলবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। ওই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন বলেন, রাতে ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মর্শেদ। মামলা নম্বর (১৭/১৬৬)।
আরও পড়ুন: