নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৯) হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের অফিস সহকারীর (পিয়ন) বিরুদ্ধে। গত ২৯ জুন ঘটনাটি ঘটলেও আজ মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় (৩০ জুন) অভিযুক্ত অফিস সহকারী মোশাররফ হোসেন মানিককে (৩০) নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মানিক ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মামলা দায়েরের পর (৩০ জুন) আসামিকে নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ মামলাটির তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ২৭ জুন তিনি মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে যান। প্রবেশপত্র পেতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে তাঁর মা বাসায় চলে গেলে তিনি পদার্থবিজ্ঞান ভবনের ওয়াশ রুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় আরেক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয়।
ওয়াশ রুমের সামনে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলতে দেখে পিয়ন মানিক বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলে দেওয়ার ভয় দেখান। এতে তিনি এক প্রকার ভীত হন।
পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক তাঁকে (ছাত্রী) বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মানিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। পথে মানিক অটোরিকশায় থেকে নামিয়ে তাঁকে কোতোয়ালি এলাকার স্টেশন রোডের একটি হোটেল কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে (২৯ জুন) তিনি অভিভাবক নিয়ে এসে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিককে বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পর ওই ছাত্রী মামলা করেছেন। এরপর তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’