ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল নীল জলরাশি পেরিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পয়েন্টে নোঙর করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুতুবদিয়া পয়েন্টে জাহাজটি নোঙর করে।
আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে লাইটারেজ জাহাজে করে ২৩ নাবিককে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটের কেএসআরএমের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসা হবে।
জাহাজে থাকা নাবিক মো. নুরুদ্দিন এসব তথ্য জানান।
সদরঘাটে নেমে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর নাবিকেরা নিজেদের বাড়িতে চলে যাবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক দিন সময় কাটানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন জাহাজ মালিকপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে রয়েছেন জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. সালেহ আহমদ, মো. শরিফুল ইসলাম ও মো. নুরুদ্দিন।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং জাহাজটি গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় এমভি আবদুল্লাহকে। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক।