চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় নিহতের বাবা মোশাররফ হোসেনকে দ্বিতীয়বারের মতো জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলাটির বাদী মোশাররফকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মামলা বাদী এজাহারে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন জেরায় কিছু বিষয়ে তাঁরা মিল খুঁজে পাননি। এই জেরা চলমান আছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই জেরা। জেরা অসম্পন্ন রেখে আদালত আগামী ১০ মে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতের কার্যক্রম শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মিতুর বাবা যে এজাহার দিয়েছেন তা উনি নিজে লেখেননি। তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে এজাহার তৈরি করেছেন। এটা উনি স্বীকার করছেন না।
এজাহারে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বাদীকে জেরায় কিছু বিষয়ে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দিয়ে এজাহার তৈরি করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ এজাহারে কি লেখা হয়েছে সেটা উনি জানেন কিনা? আমরা সেটা জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনি বলেছেন, জানেন। এই এজাহারের একটি ইংরেজি শব্দের বিষয়ে তখন জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেছেন তা জানেন না। আমরা এজাহারে যেসব শব্দের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি উনি বলেছেন মনে নাই। এই এজাহার কোথায় বসে লেখা হয়েছে সেটাও উনি বলতে পারেননি।
মুরাদ বলেন, উনি চট্টগ্রামে কখন এসেছেন? কোথায় ছিলেন? যদিও উনি এসবের উত্তর দিতে পারেননি। উনি একবার বলেছেন চট্টগ্রামে ওনার আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। তবে কোন আত্মীয় সেটা বলতে পারেননি। জেরা শেষে আমরা মোটামুটি বুঝতে পেরেছি উনি কোথাও ছিলেন না, চট্টগ্রাম পিবিআই অফিসে ছিলেন। সেখানে পিবিআই এজাহার লিখে দিয়েছে।
এর আগে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামি বাবুল আক্তারসহ তিন আসামিকে আদালতের এজলাসে আনা হয়। এদিন বাবুল ছাড়াও এ মামলায় আরও চার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা (৫৪), মোতালেব মিয়া ওয়াসিম (৩৩), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও শাহজাহান মিয়া (২৮) উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে আছেন। মামলায় আরও দুই আসামি মুসা ও কালু পলাতক আছেন।