Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের একজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পাঁচজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মমতা আমির হোসেন।
 
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
 
মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল, আজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, আতিকুর রহমান নান্টু ও ইউসুফ হারুন মামুন।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। ওই সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। 

মামলার পর চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন ও মামলা থেকে পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুজন খালাসপাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।

সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

হাসপাতাল থেকে অন্যের বাচ্চা নিয়ে উধাও নারী

কাজের সন্ধানে এসে অপহরণ চক্রের আস্তানায় যুবক, উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

চট্টগ্রামে টেম্পোচালকদের সড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে মানুষ

নোয়াখালীতে ৯টি চোরাই মোবাইলসহ কক্সবাজারের তিন যুবক আটক

পাঁচ মাসের ব্যবধানে লারমা স্কয়ারে ফের আগুন

তথ্যগত ভুলে টিসিবি পণ্যবঞ্চিত ৫ হাজার পরিবার

দলছুট বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু

কুমিল্লা মেডিকেলের পঞ্চম তলার বারান্দা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু