মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। সীমান্ত ঘেঁষে ওপারে কামানের গোলা নিক্ষেপের পাশাপাশি বিমান থেকে গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে বলে সীমান্তবর্তী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলারের বাংলাদেশের অভ্যন্তর এসব গোলার আওয়াজে কেঁপে উঠেছে। আর এ কাঁপুনিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাল্লুকখাইয়া এলাকায় কর্মরত রাবারশ্রমিকেরা ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় মনির আহমদ, মোস্তাক আহমদ ও এরশাদ হোসেন।
তাঁরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার থেকে বেলা ১১টার দিকে জেট বিমানে পরপর ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
আজ বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে চাকঢালা গ্রামের দক্ষিণাংশের মিয়ানমার থেকে অনবরত গোলার আওয়াজ শুনতে পায় ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত উত্তপ্ত। সীমান্তে নিয়মিত মর্টার শেল ছোড়ার মতো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘আসলে এটি একান্তই মিয়ানমারের বিষয়। তারা নিজেদের সন্ত্রাস দমনে হয়তো কাজ করছে। এ বিষয়ে আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সাহল আহমদ নোবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মিয়ানমারের বিষয়। তা ছাড়া বিজিবি সীমান্তে নিয়মিত টহল দিচ্ছে, সতর্ক রয়েছে।