চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যবহারের জন্য ২০১৪ সালে আধুনিক সফটওয়্যার-সমৃদ্ধ দুটি গাড়ি আনা হয়। তবে গত ১০ বছরে আধুনিক ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং রানওয়ের লোড, আবহাওয়ার তথ্য দিতে সক্ষম প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের সেই গাড়ি দুটি কোনো কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকল ও মেজারিং ভেহিকল পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন নাম্বার) নামের গাড়ি দুটি ২০১৪ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জন্য আনা হয়। এর মধ্যে ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকলটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় আনা হয় সুইডেন থেকে। আনার পর থেকে এটি এক দিনের জন্যও সার্ভিস দেয়নি।
মেজারিং ভেহিকল পিসিএন গাড়িটি আংশিক প্রস্তুত অবস্থায় আনা হয় ডেনমার্ক থেকে। এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে। গাড়ি দুটি অত্যাধুনিক আইটিএস এবং রানওয়ের লোড, আবহাওয়া তথ্য দিতে সক্ষম। যে কাজের জন্য এত দামি গাড়ি আনা হয়েছে, সেই কাজে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, গাড়ি দুটির প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাউসার এম মোহায়মেন আজকের পত্রিকার কাছে ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকলের ল্যাপটপটি তাঁর কাছে থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার আগের কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বদলি হয়ে যাওয়ার সময় আমাকে দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকলটি অকেজো পড়ে রয়েছে। তবে কী কারণে অকেজো রয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে গাড়িগুলো ব্যবহারের জ্বালানি সংকট থাকলেও ২০১৭ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মাসে ২০০ লিটার করে মোট ৪০০ লিটার জ্বালানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরও ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকলটি এক দিনের জন্যও চালায়নি কর্তৃপক্ষ। অপরটি কিছুদিন চললেও বর্তমানে দুটি গাড়িই বিমানবন্দরের মোটর ট্রান্সপোর্ট শাখার গ্যারেজে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি এ বিষয়ে এই প্রতিবেদককে তাঁর অফিসে যেতে বলেন।