Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

কুবিতে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঝুলছে দেয়ালে দেয়ালে 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

কুবিতে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঝুলছে দেয়ালে দেয়ালে 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চারটি একাডেমিক ভবন, চারটি হল ও একটি প্রশাসনিক ভবনে নেই যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। বারবার সংবাদ প্রকাশের পরও এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এবারের অর্থবছরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনার জন্য কমিটি করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণের জন্য কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মো. সানোয়ার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মো. সানোয়ার আলীকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের ক্রয় কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন 
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওয়ালি উল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা প্রধান মো. মিজানুর রহমান। 
 
যন্ত্র ক্রয় বা মেডিসিন রিফিল করার ব্যাপারে কমিটির আহ্বায়ক মো. সানোয়ার আলী বলেন, আমি এক সপ্তাহ হলো চিঠি পেয়েছি। কাল একটা মিটিং আছে কমিটির সঙ্গে। মিটিং শেষে আমরা এ কাজগুলো দ্রুত করার চেষ্টা করব। 

সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন-২০০৩ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো লাগানো হলেও করা হচ্ছে না এগুলোর যথাযথ তদারকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হলে (শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রায় নেই বললেই চলে। 

যেগুলো ঝুলে থাকতে দেখা যায় সেগুলোতেও নেই মেয়াদ। হলের মতোই একই চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে। ছয়তলা এই অনুষদের নিচতলায় লাগানো দুইটি যন্ত্রের একটিতেও নেই রাসায়নিক পদার্থ। একইভাবে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ ভবনেও ঝুলছে ফাঁকা যন্ত্রগুলো। 

এমনকি প্রশাসনিক ভবনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া প্রশাসনিক ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নেই কোনো জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে একবার ফায়ার সার্ভিসে অগ্নি প্রতিরোধের মহড়া হলেও এরপর আর তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিকটতম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইপিজেড ও বাগিচাগাঁও স্টেশন দুটি যথাক্রমে ৮ ও ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খানাখন্দে ভরা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী রাস্তার কারণে এই পথে আসতে ফায়ার সার্ভিসকে পড়তে হয় প্রতিবন্ধকতার মাঝে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর বেশির ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ অথবা ফাঁকা। তারপরও নতুন করে যন্ত্রে ভরা হয় না আগুন নেভানোর রাসায়নিক দ্রব্য। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো দুর্ঘটনায় আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তর থেকে ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা বিনা মূল্যে আমাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপক যে যন্ত্রগুলো খালি হয়েছে সেগুলোতে মেডিসিন ভরার জন্য ক্রয় কমিটি করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কাল এ কমিটি মিটিং করবে। 

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীর সংশ্লিষ্টতা: কুবির ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

‘পাহাড়খেকো’ জসিম তিন মামলায় গ্রেপ্তার

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পণ্যসহ আটক ২

প্লাস্টিক-পলিথিনের বিনিময়ে আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য

বাঁশখালীতে কাদায় আটকে গেল দলছুট হাতি, ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার

সেন্ট মার্টিনে জন্ম নেওয়া ৬৬৯টি কচ্ছপছানা সাগরে ফিরল

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসায় ঢুকে দুজনকে অপহরণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

কোম্পানীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পদ হারালেন বিএনপির ৩ নেতা

অভয়াশ্রমে জাটকা শিকার, আটক ১১ জেলে