নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে ‘ইসলামি গান’ গাওয়া নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। জোর করে স্টেজে উঠে গান পরিবেশন করা হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আয়োজক কমিটি ও সেখানে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ওই শিল্পীগোষ্ঠীকে দাওয়াত দিয়েই আনা হয়েছিল।
গান পরিবেশনের অনুমতি দেওয়ায় পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সজল দত্তকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘সজল দত্ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহানগর পূজা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক মঞ্চে চট্টগ্রাম কালচার একাডেমি নামক একটি সংগঠনকে গান করার সুযোগ দেন। ওই সংগঠনের ছয়জন যুবক মঞ্চে উঠে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া উপস্থিত সকলের সামনে ইসলামি দাওয়াতি গান পরিবেশন করেন। তাঁরা এ কাজের মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা করেন এবং এতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। তাই সংগঠনের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’
এর আগে মহানগর পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূজামণ্ডপে পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের অনুরোধেই গান পরিবেশন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গান পরিবেশনকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলাম। তাঁরাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সেক্রেটারি নাঈম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি।
আজ শুক্রবার সকালে পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে। পুণ্যার্থীরা পূজা দিচ্ছেন।