চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস থেকে পলোগ্রাউন্ড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণে শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। নাগরিক সমাজের আন্দোলনের মুখে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বদলের ঘোষণা দিয়েছে সিডিএ। সংস্থাটি জানিয়েছে র্যাম্পের পুনর্নকশা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনপুম সেন এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকেরা সেখানে ছিলেন। এরপরই গাছ কাটার বিষয়ে সিডিএর অবস্থান পরিবর্তন হয় বলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘র্যাম্পের পুনর্নকশা হবে। আপাতত ওই সড়কে র্যাম্পের কোনো কাজ হবে না। নকশাটি সর্বসাধারণের কাছে তুলে ধরা হবে। মতামত গ্রহণের পর সেটি চূড়ান্ত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতল রাস্তা ও শতবর্ষী গাছে কোনো আঁচড় না লাগিয়ে আমরা র্যাম্পের কাজ সম্পন্ন করব। এতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবে মানুষ।’
সিআরবি পাহাড়ের পাদদেশে দ্বিতল সড়ক হিসেবে পরিচিত নগরীর টাইগারপাস থেকে পলোগ্রাউন্ড অংশে সম্প্রতি ৪৬টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়ে সেগুলো রং দিয়ে চিহ্নিত করে সিডিএ। বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করে সিডিএকে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানায়। সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও বিবৃতি দিয়ে একই আহ্বান জানায়।
এ প্রেক্ষাপটে ড. অনুপম সেন সিডিএ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেন। আর এ বৈঠকের পর গাছ কাটার সিদ্ধান্তে বদল আসে।