কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতিবেশীর দেওয়া কাঁঠাল খাওয়ায় আট বছরের এক কন্যাশিশুর শরীরে গরম চামচের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎমায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সৎমা নাহিদ সুলতানা অনিকাকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে থানার পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার উপপরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার হওয়া নাহিদ সুলতানা অনিকা (২১) পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ফারুকের স্ত্রী। এ ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মায়ের মৃত্যু হলে নাহিদ সুলতানা অনিকাকে বিয়ে করেন তার বাবা মোহাম্মদ ফারুক। বিয়ের পর থেকে স্বামীর অবর্তমানে শিশুটিকে মারধর করতেন অনিকা। ধীরে ধীরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে না বলে প্রতিবেশীর বাসা থেকে কাঁঠাল খাওয়ায় গরম চামচের ছ্যাঁকা দেন সৎমা অনিকা। এতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে যায়। ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া শুরু হতেই সে কাঁদতে থাকে। বিকেলের দিকে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অনিকাকে গ্রেপ্তার করে এবং শিশুটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
থানার উপপুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাতে শিশুটির নানা মোহাম্মদ সিরাজ বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত সৎমাকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে আদালতে পাঠানো হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, শিশুটির ওপরে নতুন অত্যাচার হয়েছে এমন নয়, প্রায়ই তাকে মারধর করা হতো। এবার অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায়। নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।