কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০০ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু। গত বছর বিয়ের পর গত সোমবার বউভাত শেষে শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। তিনি শ্বশুরবাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বইঘর’ নামে একটি পাঠাগার গড়ে তুলতে চান। যেখানে পাঠক হবে এলাকার বউ-শাশুড়িসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা।
মুমু চর ফলকন গ্রামের ডা. অবাদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের মেয়ে। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভীবাড়ির মাকছুদুর রহমানের ছেলে তরুণ আইনজীবী এমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মুমু ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোটবেলা থেকেই তিনি বইপ্রেমী। স্বজনেরা বলেন, বই পড়তে মুমুর ভালো লাগে। বই সংগ্রহ ও পড়া তাঁর শখ।
গত সোমবার বিকেলে নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বাবার বাড়ি থেকে বই নিয়ে উপজেলার চর ফলকন গ্রামের শ্বশুরবাড়ি যান। বই ছাড়াও নানা পদের বাহারি পিঠা নিয়ে যান তিনি। পিঠা প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেন মুমুর শাশুড়ি কামরুন নাহার।
গত বছরের ১৮ আগস্ট বিয়ে হয় এই দম্পতির। তখন শুধু কাবিন হয়। গত শনিবার ছিল মুমুর বউভাতের আয়োজন। এর একদিন পরই শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। মেহেরুন নেছা মুমু বলেন, ‘বই কেনা, বই পড়া আমার শখ। বই উপহার পেতে আমার ভালো লাগে। স্বপ্ন দেখছি, শ্বশুরবাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বইঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়ব। এলাকার সব বউ-শাশুড়ি এখানে এসে বই পড়বেন।’
মুমুর স্বামী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিল স্ত্রীর সঙ্গে করে আনা বইয়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
মুমুর শাশুড়ি কামরুন নাহার বলেন, ‘আমার দুই ছেলে, মেয়ে নেই। ছেলের সুবাদে একটা মেয়ে পেয়েছি। সে এই বাড়িতে আসার সময় অনেক বই নিয়ে আসে। তাতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এখন থেকে আমিও তাকে বই কিনে দেব।’