নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে চর হাসান ভূঁইয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয়। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যালয়ে ছিল না বৈদ্যুতিক পাখা। গরমে ভোগান্তি পেতে হতো শিক্ষার্থীদের। ১৭ বছর পর শ্রেণি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চর হাসান ভূঁইয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আট শ্রেণিকক্ষের একটিতেও ছিল না বৈদ্যুতিক পাখা।
আজ সোমবার দুপুরের স্কুল কমিটির সভাপতি ও চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুক নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে দশটি ফ্যান উপহার দিয়েছেন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার বলে, ‘গরমে ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। অনেক শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে যেত। শ্রেণি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করলে গরম থেকে রেহাই পাব।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, দুর্গম এই চরে স্কুলটি স্থাপিত। শিক্ষকদের কক্ষ সোলার প্যানেল দিয়ে একটু আলোকসজ্জা থাকলেও শ্রেণিকক্ষে পাখা ছিল না। ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্কুলটিতে বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করে দেন। এতে গরম থেকে স্বস্তি পাবে শিক্ষার্থীরা।
ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, এ ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে সব বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বৈদ্যুতিক পাখা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫টি বিদ্যালয় ও পাঁচটি মাদ্রাসায় ১০টি করে বৈদ্যুতিক পাখা দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে সব বিদ্যালয় পাবে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এই ইউনিয়নে কোনো কলেজ ছিল না। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য ২৭ কিলোমিটার দূরে যেতে হতো। অনেকেই দূরে যাওয়ার ভয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দিতেন। আমি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিল উল্লাহ মিয়ার নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। যা এই বছরে ৮৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে।’