মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের সময় জুমার নামাজে ছিলেন রেললাইনের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন। এ জন্য তিনি অনুতপ্ত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন।
গত শুক্রবার বেলা পৌনে ২টার দিকের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর রেলওয়ে পুলিশ সাদ্দামকে আটক করে দায়িত্বে অবহেলায় অভিযোগে মামলা করে।
মামলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আটকের পর গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন স্বীকার করেছেন তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না। তিনি তখন জুমার নামাজে ছিলেন। লেভেল ক্রসিংয়ের বারও (ব্যারিয়ার) ফেলা ছিল না। তিনি এই জন্য অনুতপ্ত হয়ে ভুল স্বীকার করেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে খোরশেদ আলম বলেন, ‘যেহেতু সে স্বীকার করেছে সে জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করিনি। এ ছাড়া যেহেতু আসামি একমাত্র সাদ্দাম, সে জন্যও প্রয়োজন হয়নি।’
এদিকে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি তদন্ত করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে যান ওই তরুণেরা। ভ্রমণ শেষে বেলা পৌনে ১টার দিকে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।