কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেসে’র সিংহভাগ টিকিট কালোবাজারে চলে যাচ্ছে—এমন খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছেন আদালত। গতকাল রোববার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে কক্সবাজারের ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদে বলা হয়েছে, একটি সিন্ডিকেট এসব টিকিট বাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন; যা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার নজরে আসে। এটি ১৯৭৪ এর ২৫ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে মর্মে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তদন্ত জরুরি।
কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কোথায় যাচ্ছে? কোনো সিন্ডিকেটের কবলে কালোবাজারি হচ্ছে কি না? এ ঘটনায় কারা জড়িত এসব তদন্ত করতে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথের উদ্বোধন করেন। পরে ১ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ট্রেনটি চালুর পর অনলাইনে এক হাজারের ওপরে টিকিট এক থেকে দুই মিনিটের মাথায় বিক্রি হয়ে যায়।
যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট কালোবাজারে চলে যাওয়ায় স্বাভাবিক পন্থায় টিকিট মিলছে না। অতিরিক্ত দেড় থেকে ২০০ টাকা দিলেই মিলছে টিকিট।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, আদালতের আদেশের কপি এখনো হাতে পৌঁছেনি। মামলার কপি পেলেই যথাযথভাবে তদন্ত করবে র্যাব।