শিক্ষা–গবেষণার কাজে মৃত তিমির কঙ্কাল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি)। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে তিমির কঙ্কালের খোঁজে খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। যা আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার পুরোপুরি খনন কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিমির কঙ্কাল উত্তোলন করে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে আলাদা আলাদা হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে। পরে এটি প্রদর্শন করা হবে।’
এর আগে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ৪৪ ফুট দীর্ঘ একটি মৃত তিমি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। এরপর বনকর্মীরা তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলে।
ওই সময় বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রতিবেদনে তিমি দুটি ব্রাইড’স হুয়েল বা বলিনোপেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে চিহ্নিত হয়। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ লিঙ্গের বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সারওয়ার আলম বলেন, ‘গবেষণা কাজে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ তিমি দুটির কঙ্কাল উত্তোলনের জন্য বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে তিমি দুটির কঙ্কাল দুই প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বোরি কঙ্কাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে।’
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কাল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।’