কক্সবাজারের চকরিয়া মাতামুহুরি নদীতে ভাসমান অবস্থায় রুপন কান্তি দে (৪০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ শনিবার পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের উত্তর বটতলী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রুপন কান্তি দে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র দে এর ছেলে। তিনি ইলেকট্রিক ও ফ্রিজের মিস্ত্রি ছিলেন।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামে মাতামুহুরি নদীতে রুপন কান্তি দে এর লাশ ভাসছিল। এলাকাবাসী স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে বদরখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের বাবা সুভাস চন্দ্র দে বলেন, ‘আমার পরিবার বা ছেলের কোনো শক্র নেই। গত বৃহস্পতিবার কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেনি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করি। পরদিন সন্ধ্যায় মাতামুহুরি নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।’
এ ব্যাপারে বদরখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরে মাতামুহুরি নদীর কাকারা ইউনিয়নের বটতলীর লোটনী এলাকা থেকে রুপনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। লাশের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’