কুমিল্লার দাউদকান্দিতে লেগুনা থেকে নামিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আসামিদের জেলা জজ আদালতে হাজির করলে বিচারক এ আদেশ দেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় শহীদনগর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দাউদকান্দি মডেল থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুজনসহ ছয়জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজের নাকফুল মেরামত করার জন্য গৌরীপুর বাজারে কিশোরী মেয়েকে (১৪) স্বর্ণকারের দোকানে পাঠান। নাকফুল মেরামত করে বাড়ি ফেরার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড হতে শহীদনগরের লেগুনায় ওঠে সে। লেগুনায় চালক আকাশ, যাত্রীবেশে সবুজ ও হৃদয় ছিল। শহীদনগর স্টেশনের ৩০০ ফুট আগে সোনালি আঁশ জুট মিলের পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে লেগুনাটি থামলে আকাশ ও সবুজ মেয়ের মুখ চেপে ও হাত পা ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। তখন রাস্তায় কোনো লোকজন ছিল না।
এ সময় হৃদয়, মেহেদীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুজন মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে তারা এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে শহীদনগর ফুটওভার ব্রিজের নিচে আহত অবস্থায় মেয়েকে ফেলে যায়। আমার মেয়ে ভয়ে আমাদের কিছু জানায় নাই। ঘটনার তিন দিন পর এলাকার আনিসুর রহমান খান মেম্বারের মাধ্যমে সাগর নামে এক ব্যক্তি থেকে জানার পর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনাটি বলে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শহীদনগর বাজার থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ জেলা আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’