উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। নওয়াবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনে ৬১ কেন্দ্রে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট। ১ হাজার ৯৪১ ভোট পুনর্নিরীক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলা কেন্দ্রগুলো হলো চর মহিউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এন এ প্রো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নির্বাচনে খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের প্রতীক ছিল দোয়াত-কলম। আর বিজয়ী প্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর প্রতীক ছিল আনারস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এটি আমাদের দেখার বিষয় না। এ বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিতে হবে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ ভোটের মধ্যে মোট ৭৬ হাজার ৫০৭ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯১৪ অবৈধ ভোট বাদ দিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯৩ বৈধ ভোট গণনা করা হয়েছে।