কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির স্বাক্ষরিত আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার আজকের পত্রিকার অনলাইন ও সোমবার প্রিন্ট ভার্সনে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, চকরিয়ার উপজেলার হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ দেওয়া হয় এক লাখ ৯২ হাজার টাকা। এ টাকা তুলতে আসলে এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম ৮০ হাজার টাকা ঘুষ চান।
পরে তিন দফা বৈঠক করার পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। ভিক্ষুকদের সেলাই মেশিন বিতরণের অফিস খরচের জন্য পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতার বই বাবদ উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন অভিযুক্ত দুজন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতিমদের টাকার ওপর যারা ভাগ বসায়, তারা কী ভালো মানুষ। সমাজসেবা কার্যালয়ের সব গরিব লোকজনই যায়, কিন্তু তাঁদের চুষে খাচ্ছে এ রকম কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া আমি খুশি।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে সাময়িক বরখাস্তে মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়টি জেনেছি।’ এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।