নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এক ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক শিহাব উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
শিহাব উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সাতাউক গ্রামে। তিনি নাসিরনগর উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আদালতের মাধ্যমে শিহাবকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় পড়াকালীন বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শিক্ষক শিহাব উদ্দিন। গত ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করেন শিহাব। বিষয়টি কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীকে প্ররোচিত করেন তিনি। পরবর্তীকালে ৯ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে ফোন করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আবারও ধর্ষণ করেন শিহাব উদ্দিন। ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
পরে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই আসামি শিহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘শিহাব উদ্দিন আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমরা শিহাব উদ্দিনের বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা ছাত্রী ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বসা হয়েছে। মাদ্রাসা থেকে ছাত্রী-শিক্ষক উভয়কে বের করে দেওয়া হয়েছে।’