কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের উপকূল এলাকার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, চকরিয়া, পেকুয়া এবং টেকনাফের কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে লোনা পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। এসব এলাকায় অন্তত অর্ধশত গ্রাম জোয়ার-ভাটার কবলে পড়েছে। বেশির ভাগ এলাকায় চিংড়ির ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুই দিন ধরে সাগরে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, কুতুবদিয়া, সদর উপজেলার ভারুয়াখালী, মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে জেলায় এ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পাউবো জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, মোস্তাকপাড়া, ফদনার ডেইল, নুনিয়ারছড়া, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ও রাজাখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার কয়েকটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে জেলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫৩টি কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহেশখালীতে গাছ পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।