প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল। আজ সোমবার খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
নৌপরিবহন সচিব আরও বলেন, উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তখন দুই দেশের নাগরিকেরা ভিসা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থলবন্দরের স্থায়ী কাঠামো তৈরি নিয়ে জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অস্থায়ী অবকাঠামোয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জটিলতা নিরসন হলে বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়িসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। মূলত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের আগে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করায় প্রথমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন সহ বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি।
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সারওয়ার আলম, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, রামগড় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্টরা।