পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এটিই এবার পর্যটন মৌসুমে প্রথম যাত্রা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে আটটি জাহাজ চলাচল করে। সরকার প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস এই রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়। কিন্তু সম্প্রতি নাফ নদীতে জেগে ওঠা ডুবোচরের কারণে নাব্যতার সংকটে এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হওয়ায় নিরাপত্তার অভাবে আপাতত জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারে অস্থিরতার কারণে টেকনাফ থেকে নাফ নদী হয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, পর্যটকদের সীমিত পরিসরে হলেও যাতায়াতের জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আজ সকাল ৭টার দিকে ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। জাহাজে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিমও রয়েছে। সাগরপথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর ৫৫০ জন ধারণক্ষমতার এমভি বারো আউলিয়া চলাচল শুরু করবে। এ ছাড়া আগামী ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ১ হাজার ৫০০ জন ধারণক্ষমতার বে-ওয়ান জাহাজ চলাচল করবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, নাফ নদীতে নাব্যতাসংকটের কারণে আপাতত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে আবেদন করা জাহাজগুলোকেও অনুমতি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটন মেলা এবং বিচ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।