বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম রেঞ্জে আয়োজিত দরবারে বাহিনীর সব স্তরের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় তিনি নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাহিনীর বিভিন্ন স্তরভিত্তিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী আগামী দিনের পথ পরিক্রমা ও বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
বৈষম্য দূরীকরণের উদ্যোগ হিসেবে মহাপরিচালক চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসনিক, উত্তর ও দক্ষিণ জোনের সরকারি বেসরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থায় অঙ্গীভূত আনসার সদস্য-সদস্যদের মধ্যে নতুনরূপে ইস্যু করার জন্য ৫ হাজার ৭৪৩টি কম্বল বিতরণ করেন। এই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কম্বল ইস্যুকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে অঙ্গীভূত আনসারদের স্বাস্থ্য, রেশন ও পেনশনসহ বিভিন্ন বৈষম্য ও দুর্দশার ক্ষেত্রগুলো সমাধানের প্রক্রিয়া শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।
ভিডিপি-টিডিপি দলনেতাসহ সদস্যদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানান মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব। এ ছাড়া তিনি আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, পেশাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলা ও স্বীয় গণ্ডিতেই সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করার মানসিকতা পরিবর্তনের প্রতি গুরুত্ব দেন।
মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব বলেন, বাইরের কোনো অনিয়মতান্ত্রিক প্রভাবকের ভিত্তিতে বা গড্ডলিকাপ্রবাহে দিনাতিপাত নয় বরং পেশাগত দক্ষতা অর্জন, নৈতিকতা ও বাহিনীর সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে পদোন্নতি বা দায়িত্বপ্রাপ্তির উপযুক্ততা।
মৌলিক চাহিদা পূরণে সব পর্যায়ের কমান্ডারদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও জবাবদিহির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের সুবিধা-অসুবিধার বিষয় চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে নিজেদের ভূমিকা পর্যালোচনার সময় এসেছে। অধীনস্থদের কষ্টার্জিত বেতন-ভাতা, ছুটি ও রেশনের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’
অনুষ্ঠানে উপমহাপরিচালক মো. সাইফুর রহমানসহ বিভিন্ন পদবির ৮০০ জন বিভিন্ন স্তরের আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলনেতারা উপস্থিত ছিলেন।