ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলায় চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এদিকে জাল ভোটের অভিযোগ দুই তরুণকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কয়েকটি কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত তরুণেরা হলেন শামসুল আলমের ছেলে রিমন হোসেন (১৯) ও কপিল উদ্দিনের ছেলে সজীবুর রহমান (১৯)।
সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান দায়িত্বরত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। এ সময় একটি বুথের সামনে থেকে ৪০২ ও ৪০৭ ভোটার নম্বর টোকেনসহ দুই তরুণকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
তাঁরা জাল ভোট দিতে আসছেন প্রমাণিত হওয়ায় দুই তরুণকে ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত দুজন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাবুলকে ভোট দিতে এসেছিলেন।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বদলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দোয়াত-কলম প্রতীকে সিল মারা অবস্থায় একটি পুরো বই ব্যালট পেপার দেখতে পেয়ে রিটার্ন কর্মকর্তাকে জানান সাংবাদিকেরা।
বদলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. হানিফ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার কেন্দ্রে ঘটেনি। আমি খুব ব্যস্ত আছি। এখন কথা বলা যাবে না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা সারমিন আরা বলেন, ‘জাল ভোটের বিষয়টি শুনেছি। বদলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বিষয়টি জানার পর ওই কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’