চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশানি লঞ্চঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রলারে ডাকাতি হওয়ার দুই দিন পার হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি ৪৬৬ বস্তা চিনি ও ২৯০ ড্রাম (সয়াবিন) ভোজ্যতেল। ১২ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে লঞ্চঘাটের উত্তর দিকে ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ৬০০ বস্তা চিনি ও ৩৩০ ড্রাম ভোজ্যতেল নিয়ে যায়। তবে ১৩৪ বস্তা চিনি ও ৪০ ড্রাম ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কবর আলী খান এ তথ্য জানান।
কবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রলার মতলব উত্তর উপজেলার দশানী লঞ্চঘাট এলাকায় আসলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের কবলে পড়ে। এ সময় ট্রলারে থাকা মুকবুল গাইয়ুম, মোহাম্মদ হোসেন গাজী, মনির হোসেন, আবুল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন নামে শ্রমিকদের ডাকাত দলের সদস্যরা হাত–পা বেঁধে নদীর পাশে চরে ফেলে দেয়।’
কবর আলী আরও বলেন, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর সদরের ট্রলারমালিক মো. কাদির ব্যাপারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি রুজু করার জন্য মতলব উত্তর থানায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ডাকাতি হওয়া ১৩৪ বস্তা চিনি চাঁদপুর সদরে এবং ৪০ ড্রাম ভোজ্যতেল কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা-পুলিশ উদ্ধার করে। বাকি মাল উদ্ধার ও ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেলতলী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মামলার কাগজ পাঠানো হয়েছে। আমি এখনো দেখিনি। মামলার বিবরণ থেকে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে রাতেই মামলাটি রুজু হবে।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কানুদী বাজারের একটি দোকানের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১১৮ বস্তা এবং আজ শুক্রবার দুপুরে একই স্থান থেকে ১৬ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে চিনির বস্তাগুলো থানা হেফাজতে রয়েছে।’