কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬ নম্বর ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নাসিমা আক্তার সীমা ও তাঁর ছেলে নাহিদ চৌধুরীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নইমুল হক মজুমদার রাফিদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে রাফিদসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাসিমা আক্তার সীমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে নাসিমা আক্তারের পোস্ট করা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি রাফিদকে জুতা দিয়ে পেটানোর কথাও বলেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে গত সোমবার নাসিমা আক্তার সীমা তাঁর পৈতৃক জমিতে একটি এতিমখানা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন। এ সময় নইমুল হক মজুমদার রাফিদ, স্বপন, তপন ও জনার্ধনের নেতৃত্বে নাসিমা আক্তারকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন। পরে তাঁর ছেলে নাহিদ চৌধুরী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত বিবাদীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নাহিদকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
ইউপি সদস্য নাসিমা আক্তার সীমা বলেন, ‘আমার পৈতৃক জমিতে একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার নির্মাণকাজ শুরু করি। বিবাদীরা এসে আমার নির্মাণকাজে বাধা দেন। কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার ছেলে নাহিদকে লাঠিপেটা করে আহত করেন। পরে এলাকাবাসী আর্তচিৎকার শুনে আমাকে ও আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।’
অভিযুক্ত নইমুল হক রাফিদ বলেন, ‘আমি শুনেছি এতিমখানা নির্মাণের জায়গাটি একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের। স্বপন পালের কথায় ওইখানে গিয়ে বিরোধকৃত জায়গাটির সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি।’ চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’