ছিনতাই মামলায় সম্প্রতি আদালতে তিন আসামি হাজিরা দিতে যান। সেখানেই তাঁরা আরেকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরদিন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তার পেনশনের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে। ওই টাকা দিয়ে এক আসামি নিজের বিয়ের কেনাকাটাও করেন।
আজ রোববার চট্টগ্রামের মনছুরাবাদে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর-পশ্চিম) উপকমিশনার মো. আলী হোসেন।
এর আগে গতকাল শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তাঁরা হলেন নুরুল হক সজীব (৩৩), মো. মহিউদ্দিন (৪২) ও মো. রায়হান (২৮)। এঁদের মধ্যে সজীবের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটটি, রায়হানের বিরুদ্ধে চারটি ও মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোলায় ছয়টি মামলা আছে বলেও জানান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নগরীর পাহাড়তলীতে রুহুল আমিন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা স্ত্রীসহ পেনশনের টাকা তুলতে ইসলামী ব্যাংকে যান। ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে তিনি একটি বাজারের ব্যাগে নেন। টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যখন হাঁটছিলেন, তখন পেছন থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে অভিযুক্তরা টাকার ব্যাগটি নিয়ে চলে যান। পরে ভুক্তভোগী পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার আলী হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর মহিউদ্দিনের অবস্থান শনাক্ত করে প্রথমে তাঁকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যে সজীব ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে সজীব থেকে ৯ লাখ, মহিউদ্দিন থেকে ২ লাখ ও রায়হান থেকে ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে রায়হান নামে এক আসামির বিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ধার্য ছিল। তিনি তাঁর ভাগে পাওয়া ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে বিয়ের কেনাকাটাও করেন।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের নেতা সজীব। ছিনতাইয়ের জন্য অটোরিকশাটি সজীব নিয়ে এসেছিল। তাদের আমরা এক বছর আগেও ছিনতাই করার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছি। সেই মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে এসে আবার তারা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে পরদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।’