ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রকে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।
এদিকে রাতে উপকূলীয় এলাকায় ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়েছে। চর আবদুল্লাহ, চর গজারিয়া, বয়ারচর, তেলির চর, চর মেঘা, চরকাচিয়া ও জরঘাসিয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রকে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। যেন দুর্যোগের মধ্যে সবাই নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে। ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।