চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের মধ্যে কোটা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এক যুবককে। নিহত তিনজনই বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁরা মারা যান। অপরজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতদের মধ্যে ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম আকরাম (২৪) চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।
ফারুক পথচারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন। অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। তবে পরিচালক নিশ্চিত করেন, তিনজনই বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুজহাত ইনু বলেন, হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ফারুক নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সারা দেশের মতো চট্টগ্রামে আজ সকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বেলা ৩টায় চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এ সময় দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা পিছু হটেন। সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিলে একজনকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
পরে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে হটিয়ে মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আরও খবর পড়ুন: