সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ১৯ ঘন্টা পর দেখা মিলল প্রতিষ্ঠানের প্ল্যান্ট ব্যবস্থাপক আবদুল হালিমের। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বিধ্বস্ত এলাকাটি দেখতে আসেন। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ৪টায় কারখানাটিতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে এলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি মালিক পক্ষের কোনো লোককে।
এদিকে বিস্ফোরণের পর অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে শনিবার কারখানায় ছিলেন না। তবে মালিকপক্ষের কেউ কেন বিস্ফোরণ পরবর্তীতে কারখানায় আসেননি, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে যান।
প্ল্যান্ট ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ সব সংস্থার ছাড়পত্র ও সনদ ছিল তাদের কারখানার। সচরাচর অক্সিজেন রিফুয়েলিং প্ল্যান্টে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে না। তারপর কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে অবগত নন তিনি।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বিস্ফোরণে তাদের কারখানাটি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কারখানাটির পাশে থাকা তাদের আরও দুটি কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে তাদের ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আবদুল হালিম বলেন, তিনি মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা হতাহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবেন। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এসবের পাশাপাশি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরগুলো মেরামতেও সহায়তা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভানুর বাজার এলাকার শিল্পপতি মোহাম্মদ শফি সীমা গ্রুপের নতুন সংযোজন হিসেবে ২০১৮ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অক্সিজেন প্ল্যান্ট কারখানাটি চালু করেন। একই স্থানে তাদের আরও কয়েকটি কারখানা রয়েছে। বিস্ফোরণে সেসব কারখানাগুলোও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ৬ জনের প্রাণহানি ও ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।