Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির একমাত্র সরকারি টেক্সটাইল মিল

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির একমাত্র সরকারি টেক্সটাইল মিল

বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির একমাত্র সরকারি মিল কাউখালীর ঘাগড়ার টেক্সটাইল। ২০২০ সালে করোনার কারণে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মিলটি আর চালু হয়নি। বর্তমানে মিলটির সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

জানা গেছে, মিলটি দেখাশোনার জন্য আছেন মাত্র একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি হলেন ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা। অস্থায়ী ভিত্তিতে মিলটি দেখার জন্য আটজন নিরাপত্তা প্রহরীও রাখা হয়েছে। 

মিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকায় ২৬ দশমিক ২৪ একর জমিতে মিল নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ১৯৮৩ সালে মিলটি উৎপাদনে যায়। এরপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মিলটি ভালোই চলে। সে সময় বেশ লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল এটি। 

পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কাউখালীর ঘাগড়ার টেক্সটাইল মিলস্বয়ংসম্পূর্ণ মিলে রয়েছে—মেডিকেল সেন্টার, অতিথি ভবন, ক্যানটিন, শ্রমিক কোয়াটার, বিদ্যালয়, স্টাফ ভবন ও ম্যানেজার বাংলো। 

মিলটি নির্মাণের ফলে প্রায় ৭০০ জনের কর্মসংস্থান হয়। তবে ১৯৯২ সাল থেকে ক্ষতির তালিকায় নাম লেখায় মিলটি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ক্ষতিতে চলে। এরপর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর এটি বেসরকারি কোম্পানি চট্টগ্রামের মেসার্স রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্সের সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি করে সরকার। 

মেসার্স রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স নিজে উৎপাদনে না গিয়ে আমমোক্তারনামার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মিলের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদনে যায়। এতে এলাকার চিত্র কিছুটা বদলাতে থাকে। কিন্তু করোনা আসার পরপরই মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল মেসার্স আল আমীন এন্টারপ্রাইজ মেয়াদ শেষের আগেই মিলের দায়িত্ব সরকারের হাতে হস্তান্তর করে সেটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে মিলটি। 

মিলের মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছেসম্প্রতি মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মিলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মিলের মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মিলটি আর কোনো দিন চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা। 

মিলের শ্রমিক শান্তিময় চাকমা (৫০) বলেন, ‘মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা পাঁচ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়েছি। শ্রমিকেরা সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মিলটি চালু করা হলে আমরা আমাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাব।’

মিলটির ব্যবস্থাপক অমর বিকাশ চাকমা বলেন, মিলটিতে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, এগুলো পুরোনো মডেলের। বর্তমানে এর চেয়ে আরও আধুনিক মেশিন এসেছে। ফলে ঘাগড়া মিলের মেশিন দিয়ে উৎপাদনে গেলে লোকসানে পড়তে হবে। এ জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো এই মিল চালনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না। 

মিলটির ব্যবস্থাপক আরও বলেন, মিলে অনেক সরকারি সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে। 

চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন

রাঙামাটিতে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম আটক

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারসামগ্রী তৈরি, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের পর পরিবারে হস্তান্তর, অতঃপর যা ঘটল

কর্ণফুলী নদীতে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ

চন্দনাইশে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে মন্ত্রণালয়কে বিএইচআরএফের চিঠি

লক্ষ্মীপুরে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তরুণ নিহত

পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই গ্রেপ্তার