ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ৭ কোটি ৮ লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বাশারকে ৩৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নোয়াখালীর বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন বলে দুদকের আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস জানান। রায়ে কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁকে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজকের পত্রিকাকে ইদ্রিস বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ বাশার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখায় এসবিআইএস সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের নথি অনুযায়ী, নূর মোহাম্মদ বাশারের ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাল, ভুয়া, তঞ্চক কাগজপত্রকে খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে জমা দেন। পরে ভুয়া গ্রাহকদের নামে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দেখিয়ে ব্যাংকের ৭ কোটি ৮ লাখ ৫০০ টাকা আত্মসাত করেন বাশার। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ।
বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানি শেষে আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদ বাশারকে বিভিন্ন ধারায় সর্বমোট ৩৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।