হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সঙ্গে সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুতসহ নৌ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিরা।
এর আগে গতকাল ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেওয়ার পর থেকে হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাতিয়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে অবস্থান করা লোকজনকে জরুরি অবস্থায় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে সকাল থেকে হাতিয়ায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। নলচিরা ঘাটের পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী অসংখ্য লাইটার জাহাজ এসে নিরাপদে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, ‘হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে সব সময় দুর্যোগে ঝুঁকি বেশি থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় বেশ কটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাইকিংসহ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করব।’