চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ৭৭০ জন চিকিৎসক করোনা হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এদেরমধ্যে ১০ ভাগ ছাড়া, বাকিরা সবাই রোগীর সেবাই নিয়োজিত। এমনও অনেক চিকিৎসক আছেন, যারা কয়েকবার আক্রান্ত হয়েও আবারও কাজে ফিরেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের একজন চিকিৎসক ডা. প্রত্যাশা মল্লিক। এপ্রিলে যখন করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ চলছে তখন সরাসরি করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন তিনি। করোনার থাবা থেকে রেহাই পাননি, মল্লিক ৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন করোনায়। সুস্থ হয়ে আবারও কাজে ফিরেছেন। সেবা দিচ্ছেন করোনা রোগীদের।
শুধু কি প্রত্যাশা মল্লিক নয় চমেকের সার্জারি ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. মইনুর হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইউনুস হারুন চৌধুরীর মতো চট্টগ্রামে এই পর্যন্ত ৭৭০ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে আবারও কাজে ফিরেছেন। এর মধ্যে-তো ২৮ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। তবে আক্রান্ত ও মারা যাওয়া মধ্যে ১০ ভাগ অবসরে যাওয়া চিকিৎসক ছাড়া অন্যরা সবাই রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
চট্টগ্রামে করোনা যুদ্ধের অন্যতম সম্মুখযোদ্ধা হলেন মা ও শিশু হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. মাহমুদা সুলতানা আফরোজা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সাড়ে ৭ মাসের সন্তান জন্ম হয় তাঁর। তাঁর ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ থাকার কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, যেতে হয় আইসিইউতে। চার দিন আইসিইউতেও ছিলেন।
চমেকের সার্জারি ওয়ার্ডের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইউনুস হারুন চৌধুরী বলেন, এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হই। সুস্থ হওয়ার পরপরই আবারও রোগীর সেবায় নেমে যাই। বর্তমানে ভয়াবহ মহামারির মধ্যেও প্রতিদিন রোগীদের সেবা দিচ্ছি।
চমেকের সার্জারি ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. মইনুর হোসাইন গত বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ দিনের বেশি ছুটি কাটাননি। করোনা নেগেটিভ আসার পরপরই কাজে নেমে পড়েন তিনি।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। করোনা শুরুর পর থেকে তিনি রাঙ্গুনিয়ায় নিজ গ্রামে রোগীর সেবা দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি নগরেও সেবা দিচ্ছেন তিনি।