আমি মরে গেছি। আমাকে তারা বারবার মারার চেষ্টা করছে। এক মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এখন আবার আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে শয়তানের দল। আমি শেষ হয়ে গেছি। এভাবে কথাগুলো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক গ্রাম পুলিশ বাবা।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহরিয়ার আলম ও রবিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানা-পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার লক্ষ্মীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মেয়ে ভাটরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। শিশুটি গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে দুই যুবক জমাদ্দার বাড়ির পাশের সুপারির বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। এসময় শিশুর আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ওই শিশু কন্যা ঘরে এসে তার মা ও বড় বোনদের ঘটনার বর্ণনা দেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী শিশু কন্যার বাবা বাদী হয়ে বাউরখাড়া গ্রামের মন্দার বাড়ীর আবদুল হান্নানের ছেলে শাহরিয়ার আলম (২০) ও মোহাম্মদপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ীর আবদুর রহিমের ছেলে রবিন হোসেন (২১) নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহরিয়ার আলম ও রবিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানা-পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ২০২১ সালে আমার মেয়ে প্রিয়া আক্তার ফাতেমাকে (১৪) একই ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের মন্দার বাড়ীর হারুন মিয়ার ছেলে মো. বাহার হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বাহার হোসেনকে আটক করে। এ ঘটনায় জেলে রয়েছে বাহার মিয়া। আমার সেই ক্ষত না শুকাতেই আজ (মঙ্গলবার) রাতে আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটেরা। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি রামগঞ্জ থানায় মামলা করতে বলেন। আমি এ ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।