নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নগর জামায়াত। আজ রোববার সকালে ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরের মুরাদপুরে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মিছিলে জামায়াত-শিবিরের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আটক সব নেতা-কর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার না দেওয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। জামায়াতের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে এই কথা বলা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সামনের কাতারে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। সবার হাতে হাতে ছাতা দেখা গেছে। এ বিষয়ে জামায়াতের কোনো নেতার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নগর জামায়াতের একাধিক নেতাকে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রামে গত দুদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। রাতের একটি মোবাইল টিমের গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সেই সুযোগে আজ সকালে তারা (জামায়াত) সম্ভবত তিন-চার মিনিটের একটা মিছিল করেছে। ২ নম্বর গেটে থাকা মোবাইল টিম সেখানে যেতে যেতেই জামায়াত মিছিল শেষ করে চলে গেছে।
ওসি নাজিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘জামায়াত নেতারা মিছিলটি কয়টার দিকে করেছে তা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে বোঝা যাবে। আমরা ভেরিফাই করতে পাঠিয়েছি। তবে ধারণা করছি, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে হতে পারে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের নেতারা। শহরের বাইরে সেটি জামায়াতের প্রথম কর্মসূচি ছিল। তারও দুই দিন আগে অর্থাৎ ২৮ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরের বাদামতল থেকে মিছিলসহ চৌমুহনী গিয়ে বাধার মুখে পুলিশের ওপর হামলা চালায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এতে পুলিশের একজন এএসপিসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও।