বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার গোদারপাড় এলাকার ধুতরাঙ্গ বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথেরর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মহাথেরর পা মাটির সঙ্গে স্পর্শ করা ছিল। ফলে এটি হত্যা, না কি আত্মহত্যা—তা নিশ্চিত করতে পারছেন না কেউ।
আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে বিহার থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়, চিরকুটে ভান্তে তাঁর অনুসারীদের তাঁর স্বপ্নগুলো পূরণের আহ্বান জানিয়েছে। তবে চিরকুটটি দীপংকর মহাথেরর হাতের লেখা কি না, সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বিহার প্রাঙ্গণে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে সেবকেরা গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় বিহারের চালের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। সেবকেরা পরে পুলিশকে খবর দিলে রোয়াংছড়ি থানা–পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ড. এফ দীপংকর মহাথেরর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার জানাজানি হলে শত শত অনুসারী বিহার প্রাঙ্গণে ভিড় করেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুর শিষ্য ভুটান বড়ুয়া বলেন, ‘ভান্তের গলায় রশি দেওয়া থাকলেও মৃত্যুটি রহস্যজনক। ভান্তের পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল। তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘ভান্তেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, একজন জ্ঞানী ভান্তে কোনো দিন আত্মহত্যা করতে পারেন না। সঠিক তদন্ত করে সত্যটা প্রকাশ করা হোক।’
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আলী জানান, পুলিশ ধুতরাঙ্গ বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথেরর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে পরে জানানো হবে।