খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তিন দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রোববার পানখাইয়াপাড়া মারমা উন্নয়ন সংসদ প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে ১৩ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন মারমা সমর্থিত) বিদায়ী সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা।
সম্মেলনে বক্তারা ১৯৯৭ সালে সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বেশির ভাগ ধারা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন–‘হয়ত আমাদের জীবদ্দশায় এই চুক্তি বাস্তবায়নের যে আশা-সম্ভাবনা সেটা আমরা দেখছি না।’ তাই চুক্তি বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে। এখানে বিশেষ শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে আরও অনেক কিছু সংযোজনের প্রয়োজন আছে।’ তবু পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীদের জন্য যতটুকু অধিকারের স্বীকৃতি এখানে আছে, সেটুকুই আদায় করে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেন–জেএসএসের সাংগঠনিক সম্পাদক অংশুমান চাকমা, পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিট, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রিয়দর্শী চাকমা, জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনন্দ মোহন চাকমা, জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, জেলা ঠিকাদার সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।
উপস্থিত ছিলেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা, জেএসএসের বিদায়ী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক কাকলী খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আইন বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী (২৮,২৯ ও ৩০ মে) জাতীয় সম্মেলনে ১৫০ প্রতিনিধি ও ২৮০ পর্যবেক্ষক অংশ নেন। এর আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়।