ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর ছাগলনাইয়াতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালিসের মধ্যে আবদুর রউফ (৭০) নামের এক সালিসকারীকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামুন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের আমজাদ আলী মজুমদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবদুল মমিন (৩৮) বাদী হয়ে মো. মামুনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় মামুনের স্ত্রী ও দুই ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ রাতেই মো. মামুন (৪৫), তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৮) এবং আসামি আবুল মনছুরকে (৫২) আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের আমজাদ আলী মজুমদার বাড়ির মৃত মফিজুর রহমানের দুই ছেলে মিজানুর রহমান ও মো. মামুনের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে এক সালিস বৈঠক বসে। সালিসে মিজান ও মামুন এবং তাদের সহযোগীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় ঝগড়া শুরু হয়।
একই বাড়ির সালিসকারী আবদুর রউফ দুই ভাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন, রোকসানা, আবুল মনছুর, আরমান ও ইমাম হোসেন দা, ছুরি ইত্যাদি নিয়ে সালিসকারী আবদুর রউফের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের ছুরিকাঘাত ও দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন আবদুর রউফ। পরে তাঁকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে আবদুল মমিন জানান, মামুন ও তার সহযোগীরা বিনা উসকানিতে তার পিতার ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুছা আহাম্মদ ভূঞা জানান, নিহত আবদুর রউফ ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের পিতা। নিজ এলাকায় একটি চায়ের দোকান করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।