কক্সবাজার প্রতিনিধি
পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর জনবল, টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
আজ সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে দমদমিয়া বিআইএডব্লিউটিএ ঘাটে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অগোচরে দালাল চক্রের সহায়তায় সম্প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।’ মাদক নির্মূল ও অবৈধ দালাল চক্র দমন করতে তিনি স্থানীয়দের সহায়তা চেয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের যুদ্ধাহত নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত আরাকান আর্মির তীব্র লড়াইয়ের মুখে ৮৭৬ জন জান্তা বাহিনীর সদস্য বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে টেকনাফে পৌঁছান। তিনি বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপি ও নাফ নদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।